বিশেষ প্রতিবেদক
চাঁদপুরে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ আর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। সকাল, দুপুর, বিকেল এমনকি মধ্যরাতেও হচ্ছে লোডশেডিং।
ফলে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মানুষ।চাঁদপুর পবিস-১ এরিয়ায় গড়ে দশ থেকে বার ঘন্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। বিশেষ করে শিশু, নারী এবং বৃদ্ধরা তীব্র গরমে সীমাহীন কষ্ট পাচ্ছেন। বিদ্যুৎ সংকটে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে।
সূত্রমতে,চাঁদপুর জেলার তিনটি উপজেলার (হাজীগঞ্জ,শাহরাস্তি,কচুয়া) ৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৮৯ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১। ৬ টি উপকেন্দ্রের মধ্যে হাজীগঞ্জ -১(৩০ এমবিএ,হাজীগঞ্জ-২ বলাখাল(২০ এমবিএ),শাহরাস্তি -২৫ এমবিএ,কচুয়া-১ (২০ এমবিএ),কচুয়া -২ রহিমানগর (২০ এমবিএ),কচুয়া-৩ পালাখাল (২০ এমবিএ) উপকেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত ৩৭ টি ইউপি ও তিনটি পৌর এলাকার ৫৬৯ টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।এর আওতাভুক্ত রয়েছে ২লাখ ৮৪ হাজার ৫৮৫ টি আবাসিক,৩২ হাজার ৪৮০টি বাণিজ্যিক, ২হাজার ২৭৬ টি সেচ,২হাজার ৪৫০ টি শিল্প,৪হাজার ৮০৪ টি সিআই, ২৮১ টি সড়ক ও ১৩ টি বৃহৎ শিল্প সংযোগ।প্রতিদিন চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ এ ৭৮-৮০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা থাকলেও সরবরাহ রয়েছে ৫০-৫২ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ।ঘাটতি থাকছে প্রায় ৩০ মেঘাওয়াট।ফলে প্রতিদিনই প্রায় ২০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে রাত-দিন লোডশেডিং থাকছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডিজিএম সুকুমার চৌধুরীর কাছে গত তিন দিনের ডে পিক আওয়ার ও ইভেনিং পিকে চাহিদা সরবরাহ ও লোডশেডিং এর তথ্য চাইলে তিনি তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।তবে দিনে ৩৫ ভাগ লোডশেডিং হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করলেও রাতে দিনে গড়ে ১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলেও ১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না বলে অভিযোগ অভিযোগ রয়েছে।অপরদিকে বিভিন্ন হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি,কচুয়ার বিভিন্ন ফিডারের গ্রাহকগণের অভিযোগ দিনে গড়ে রাতে ১২ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে।লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সংশ্লিষ্টরা বলছেন ৩৫ ভাগ লোডশেডিং হচ্ছে সরবরাহ কম থাকায়।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আতিকুজ্জামান চৌধুরী ক্রাইম রিপোর্ট কে বলেন,চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম থাকায় প্রতিদিনই লোডশেডিং হচ্ছে।পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।